আনোয়ারা ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি
দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি । ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল দলটি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার যখন বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার করছিল তখনি আনোয়ারা কর্ণফুলী তথা চট্টগ্রাম ১৩ আসনে আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিল লায়ন হেলাল। নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়ে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাচে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবারো তার নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাংগঠনিকভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। । সব মিলিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গাভাব তৈরি করে যাচ্ছেন লায়ন হেলাল।
আনোয়ারা কর্ণফুলী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামে দলের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিএনপি নেতা লায়ন হেলাল উদ্দিন। তিনি আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির হাল ধরে মাঠে ছিলেন সক্রিয়। দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। তাই এবার এই লায়ন হেলালকে নিয়েই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। বিগত ১৬ বছর দলের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে পাশে থেকে লায়ন হেলাল উদ্দিন দিয়েছেন সাহস। কারাবন্দী নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের দায়িত্বসহ দলের নেতাকর্মীদের কারামুক্তির ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।
তৃনমুল নেতাকর্মীদের আশা দল কোনভাবেই নিরাশ করবে না দুঃসময়ের এই নেতাকে। লায়ন হেলালকে আগামীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক করা এখন সময়ের দাবী বলে উল্লেখ করেন তারা।
নেতা কর্মীদের অভিযোগ—বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন অনেক নেতা। অনেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে আপোষ করে ব্যবসা-বানিজ্যে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। বিএনপির পরিচয় পর্যন্ত দেননি। ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা নিয়ে আদালত পাড়ায় ঘুরেছেন, খবর পর্যন্ত নেননি কেউ। আনোয়ারা-কর্ণফুলী বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সারসন রোডের বাসভবন ও ঢাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করেছেন কিন্তু সেই ক্ষেত্রে লায়ন হেলাল ছিল ভিন্ন।
লায়ন হেলাল বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেন দেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে অপশক্তিরা ষড়যন্ত্র শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। শেষে ২০০৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনে দেশের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে জোর করে নির্বাচনে হারিয়ে দেওয়া হয়। তখন অপশক্তির কাছে হেরে যায় গণতন্ত্র, এরপর থেকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের উপর চালানো হয় জেল জুলুম নির্যাতন। গণতন্ত্রের সূর্যসন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান খুকুকে পাঠানো হয় নির্বাসনে। কিন্তু জনগণ ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে এবং জিয়ার সৈনিকদের অবিচল আস্থার কারণে আজ দেশ মুক্ত, দেশের গণতন্ত্র আজ মুক্ত।
লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছি। আমার কাছে পদের চেয়ে দল বড়। বিএনপি আমার পরিবার, রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দেশ মাতা খালেদা জিয়াকে দেশের সর্ব্বোচ্চ সম্মানে যতদিন নিতে পারব না, ততদিন আমি রাজপথ ছাড়ব না।
Discussion about this post