রুপন দত্ত, আনোয়ারা :: আনোয়ারায় পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
রবিবার (০৯ জুন) রাতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (নিঃ) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চৌধুরীসহ ৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে আরো ৬০-৭০ জনকে।
আসামিরা হলেন, কাজী মোজ্জাম্মেল হক, শাহাদাত হোসেন, মোঃ আজাদ, শাহাদাত হোসেন টিপু, এম নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান আসিফ, মোঃ জসিম, আক্তার হোসেন প্রকাশ আকতার, জিয়াউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মো. ইয়াছিন হিরো, ফারুকুল ইসলাম, শামসুল আলম, তৌহিদুল ইসলাম, মনছুর, এয়ার মোহাম্মদ, মো. রাসেল, মুছা তালুকদার, মো. বাবু, মো. রিয়াজ, মিশন কলি, নাজিম উদ্দিন, অনুপম চক্রবর্তী, নবী হোসেন, মোজাহের, মাকসুদ প্রঃ মকসুদ উদ্দিন বাচ্চু, এরশাদ মিন্টু, মো. আইয়ুব, মো. হানিফ, রাসেল সিকদার, আবদুল্লা আল নোমান, মুজিবুল হক, আলী আকবর, মোঃ দিদার, মোঃ আলী আজগর, সাদ্দাম হোসেন, বোরহান উদ্দিন, জাহাঙ্গীর, আশরাফুল হক আসিফ, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হেলাল, তারেক আজিজ, আজিজুল হক আজিজ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্ণফুলী থানার একটি মামলার পলাতক আসামি মোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন আসামি টানেলের রাস্তার মুখে ভোজন বাড়ি রেস্তোরার সামনে অবস্থান করছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় পুলিশ। রাত ১০ টার দিকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করলে মোজাম্মেল হক (চেয়ারম্যান) উল্লেখিত আসামিরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পুলিশের উপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮ রাউন্ড শর্টগান ফায়ার করে। আসামিরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশ আরও ২০ রাউন্ড কার্তুজ ফাঁকা গুলি করে। এসময় তাদের ছোঁড়া ইটে কর্ণফুলী থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এবং তৎক্ষণাৎ তাদের চিকিৎসার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, গতকাল রাতের অভিযানটা যদিও যৌথ অভিযান ছিলো তবুও ঘটনাস্থল আনোয়ারা থানা হওয়াতে আনোয়ারা থানায় পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
Discussion about this post