রুপন দত্ত – আনোয়ারা, চট্টগ্রাম –
অতীতের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় এবারের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোকেই ঝুঁকিপূর্র্ণ হিসাবে চিহ্নিত করে অতীতের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা থাকছে কেন্দ্রগুলোতে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে থাকবে বিজিবি ও র্যাব। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩শ’ পুলিশ রাখার কথা থাকলেও অতিরিক্ত হিসাবে চাওয়া হয়েছে আরো ৩ শতাধিক পুলিশ। বাড়ানো হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা। সব মিলিয়ে ভোটের দুই দিন আগে থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢাকা থাকবে আনোয়ারা।
সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর প্রভাবে এবারের উপজেলা নির্বাচনে বেড়েছে আতংক আর উত্তেজনা। আর এতেই সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এম এ মান্নান চৌধুরীর পরিবর্তে বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখে মান্নানকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। ফলে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তৌহিদুল হক চৌধুরীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। অপরদিকে অর্থমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হককে নিয়ে জোরালো প্রচারণায় আছেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অন্যদিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এর পেস্টিস ইস্যু হিসেবে এই নির্বাচন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ ঝুঁকি বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে ভোটের দুই দিন আগে থেকে নিরাপত্তার চাদরের ঢাকা থাকবে আনোয়ারা উপজেলা। আমরা বিভিন্ন মহল থেকে যেসব অভিযোগ পাচ্ছি তা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সংসদ নির্বাচনে কোনো কোনো কেন্দ্রে ১জন পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। এবার চারজন বা তারও বেশি পুলিশ থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে বিজিবি ও র্যাব থাকছে। প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১১জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা থাকলেও ম্যাজিস্ট্রেটও বাড়ানো হচ্ছে। ভোটারদের জন্য ভোট কেন্দ্র নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
Discussion about this post