অধিকার ডেক্স-নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু আহমেদ জুনুর পক্ষে চন্দনাইশ নাগরিক ফোরামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ২০ মে সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৪টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় প্রায় পৌণে ৫টায়।এই সময় সাংবাদিকদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার কারণ জানতে চাইলে তার গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে পারেননি নেতৃবৃন্দরা।
চন্দনাইশ নাগরিক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত হলেও এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল আলম,জোয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ রোকনসহ আরো অনেকে।সংবাদ সম্মেলনে তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জসিম উদ্দিন চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল ও চন্দনাইশ থানার ওসি ওবায়দুল ইসলামের অপসারণ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চন্দনাইশ যুবলীগের আহবায়ক ও নাগরিক ফোরামের মুখপাত্র পরিচয় দেয়া মো. তৌহিদুল আলম। এ সময় তিনি বলেন,
জসিম উদ্দিন আহমেদ প্রতিদিন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শত শত কর্মী-সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ ও মিছিল করছেন, ১৫-২০টি গাড়ির বহর নিয়ে রোড শো করছেন, সিএনজি অটোরিকশায় দুইটি হরণ লাগিয়ে প্রচারণা করছেন। এসব কিছুর ছবি, ভিডিওসহ অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি।
এসময় তিনি জসিম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেসব অভিযোগের কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। উলটো সাংবাদিকরা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু আহমেদ জুনুর প্রচারণায় বিভিন্ন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ তুলে ধরলে তারা সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র ও যুবলীগ নেতার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তিনি বলেন,জুনুর ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচিত মামুনুর রশিদ মামুন।তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে আগেও আরো ৩টি মামলা আছে।মূলত তাকে গ্রেফতার করায় আমার বিরুদ্ধে
এ সংবাদ সম্মেলন করে।যা ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে চট্টগ্রাম নির্বাচনী কার্যালয়ে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় দলবল নিয়ে হাজির হয়ে নির্বাচনে ১০০ লাশ ফেলে জিতবেন বলে হুংকার দেন আবু আহমেদ জুনু। এ বিষয় নিয়ে পরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া গত ১৯মে নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় বৌদ্ধ সমিতির নেতা নিবু কান্তি বড়ুয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় মামুনুর রশিদ মামুন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা যায় এই মামুন আবু আহমেদ জুনুর কর্মী।
Discussion about this post