রুপন দত্ত, আনোয়ারা –আনোয়ারা সদরের ডাকবাংলো-ডুমুরিয়া সড়কটি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। আশপাশের প্রায় সব সড়ক উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেলেও অদৃশ্য কারনে এই সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। যেন অভিভাবকহীন। আর তাতেই এই এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণ ক্ষোভে ফুঁসছে । কেননা, উপজেলার গুরত্বপূর্ণ এই সড়কে ২০ বছরের বেশি সময়েও কার্পেটিং এর কোন কাজ হয়নি। এই রাস্তা দিয়েই সরকারি বেসরকারি চাকুরীজীবি, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষের যাতায়ত।
এখানে বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আবাসিক এলাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সড়কটির উন্নয়নে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি। বর্তমানে আনোয়ারা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের কারণে এখন সড়কটি মাঠ থেকে ৪ ফুট নিচু হয়ে গেছে। আগে পানি চলাচলের ব্যবস্থা ছিল। সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই কোমর সমান পানি হয়ে যায়। তখন এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে পানি মাড়িয়ে উপজেলাসহ বিভিন্ন কাজে আসতে হয়।
এখানে অর্ধেকের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, শিক্ষক থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ বসবাস করেন। সড়কটি বিগত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করে। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে। কাদাপথ দিয়ে অসুস্থ রোগী, প্রসূতি ও শিশুদের চলাচলে ভোগান্তি হয়। শুধু তাই নয়, উপজেলা পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং থেকে সড়কের দুই দুই পাশে বিভিন্ন স্থাপনার সীমানা প্রাচীর, পূর্ব পাশে এসে এক পাশে সীমানা প্রাচীর, অন্য পাশে স্কুলের পানি চলাচলের স্থানটি মাঠ ভরাটের কারণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সড়কটি মাঠ থেকে প্রায় ৩/৪ ফুট নিচু হয়ে গেছে। এর ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতাযাত করা কষ্টকর হবে। ঐ এলাকায় বসবাসকারী সরকারি কর্মকর্তা মো. বাহার উদ্দিন বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন থাকা নজিরবিহীন। জানা যায় তিন বছর আগে সড়কটির ২৫০ মিটার টেন্ডার হয়েছিল। সরকার দলীয় এক নেতা প্রভাব খাটিয়ে সড়কের টেন্ডার ও বরাদ্দ বাতিল করে। অনেকেই বলছে ঠিক যেন চেরাগের নিচে অন্ধকার। কারন যেখান থেকে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় সেই উপজেলার পাশের জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ২০ বছর ধরে উন্নয়নের বাইরে।
আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য ২০০ মিটারের টেন্ডার হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে দুইশ মিটারের কাজ শুরু হবে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, সড়কটিতে চলাচলরত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
Discussion about this post