অধিকার ডেক্স –দলের ত্যাগী নেতা কর্মী ও জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে দুঃসময়ে দলের হাল ধরার জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ্যাড লোকমান শাহ।দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মনে করে অতীত আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে নেতৃত্বের দুর্বলতায় দায়ী । তারা নেতৃত্ব পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করছেন।অতীতের নেতৃত্বের প্রতি সম্মান রেখে তৃনমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন , আগামীতে প্রবীন এবং নবীনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হলে দলের সাংগঠনিক অবস্থা সুসংঘটিত হবে। আগামীতে যে কমিটি হবে সেই কমিটিতে জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করা, রাজপথে থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন যারা করেছে তাদেরকেই মূল্যায়ন করতে হবে। দলের দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী লোকমান শাহ বলেন, আমাকে দায়িত্ব দিলে দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সকল উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে তাগীদের নিয়ে কমিটি গঠন করবো।। যাতে আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি।তিনি আরো বলেন,আমি দুইবার জেল কেটেছি, একবার চট্টগ্রামে গ্রেফতার হয়েছি আরেকবার ঢাকায়। আমি ছাত্রদলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিলাম । আমি দক্ষিণ জেলায় পরীক্ষিত নেতা। বর্তমানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছি।চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টে আইনজীবী ফোরামেও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি। দক্ষিণ জেলা বিএনপিতে নিয়মিত তৃণমূল পর্যায় এবং শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।সুসংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দলকে। আমি যদি নেতৃত্বের দায়িত্ব পাই তাহলে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পিছপা হবো না।আমি সকল ত্যাগী নেতাকর্মী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দোয়া সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।আমি আইনজীবী হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে অর্থাৎ মইনুদ্দিন- ফখরুদ্দিনে আমল থেকে চট্টগ্রামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমা আন্তরিকতার সহিত পরিচালনা করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত আছে কিন্তু পথ পদবী নাই অর্থাৎ যারা পদ বঞ্চিত তাদের মধ্যে কেউ বাদ যাবে না। কোন অবস্থাতে কোন পকেট কমিটি হবে না আর কেউ দিতে চাইলে এবার নেতাকর্মীরাই প্রতিরোধ করবে বলেও তিনি জানান।
Discussion about this post