অধিকার ডেক্স :- দুর্নীতি, অনিয়ম ও কাবিকা ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ লোপাট করার অভিযোগে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১১নং জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ’র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছে ৯ ইউপি সদস্য। এছাড়াও এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, পরিষদের নারী সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বজন প্রীতির অভিযোগ তুলে পরিষদের এসব সদস্যরা।
এসব অনিয়মের অভিযোগ এনে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সিনিয়র সচিব স্থানীয় সরকার বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার , জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের ৯ জন সদস্য ও মহিলা সদস্য (মেম্বার)। ফলে জুইদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ৯ জন ইউপি সদস্য। এরপর দিন দ্বিতীয় দফায় সিনিয়র সচিব স্থানীয় সরকার বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ও ১৮ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তারা।
অনাস্থা প্রদানকারী ৯ ইউপি সদস্য হলেন- ১নং ওয়ার্ড আবছার মেম্বার, ২নং ওয়ার্ড নুর নবী মেম্বার, ৩নং ওয়ার্ড বাবু মেম্বার, ৪নং ওয়ার্ড মিয়া মেম্বার, ৫নং ওয়ার্ড রনি চৌধুরী মেম্বার, ৯নং ওয়ার্ড মো. মুফিজ মেম্বার, ১,২,৩ ওয়ার্ড রুবি আক্তার, ৪,৫,৬ ওয়ার্ড শারমিন হক শেপু এবং ৭,৮,৯ ওয়ার্ড রুবিনা আকতার।
অভিযোগের বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড নুর নবী মেম্বার বলেন, গত দুই বছর ধরে পরিষদে আমরা ন্যূনতম সম্মান টুকু পাইনি। বসার চেয়ার টুকু পর্যন্ত পাইনি। ইউনিয়ন পরিষদের যে ভাতা সেটা টুকু পাইনি। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প আসলেও আমরা কোন কাজ পাইনি। আমাদের না ডেকে সমন্বয় না করে তিনি নিজের মতো করে বণ্টন করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ইদ্রীস বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। আমি কোন অনিয়ম করি নাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব।
Discussion about this post