অধিকার ডেক্স :চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমাম নগরে মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দুর রহমানের পুত্র মো,মিনার ও তার পরিবারের উপর হামলা লুটপাটের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে ফৌজদারি অভিযোগে সিআর মামলা নং ২৬/২০২৪ ইং।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,সেকান্দর হোসাইন দীর্ঘদিন সীতাকুণ্ডে জায়গা দখল,চাঁদাবাজি তদবির বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।এলাকার সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া,কারো জায়গার সমাধানের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে।তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা মামলার স্বীকার হতে হচ্ছে।সেকান্দর হোসাইন বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ভোল পাল্টিয়ে কখনো বিএনপির নেতা,কখনো আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয়ে বিশাল সম্পদের মালিক বনে গেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।তার নিজ নামে,স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা যায়।কোটি টাকা দামের একাধিক লরিসহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির টাকায় লাভে লাগিয়েছেন।শীপ ইয়ার্ড ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেকান্দর।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন সেকান্দরের গত ১৫ বছরে কোন ব্যবসা না থাকলেও কোটি কোটি টাকার উৎস খোঁজা দরকার দুদকের।
গত ৭ই জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ছৈয়দুর রহমানের পরিবারের উপর নৃশংস হামলা করে তার সন্তান মিনারকে মেরে রক্তাক্ত ও জখম করেছে সেকান্দর ও তার সহযোগিরা।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতে মুক্তি যোদ্ধার সন্তান মিনার বাদী হয়ে মামলা করলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসিকে এফআইআর করে তিনদিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,মুক্তি যোদ্ধার মালিকানাধীন জায়গা দখল করে সেকান্দর তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন।জবর দখল করে এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে।তিনি আরো বলেন,আমাদের জায়গা দখল করে তিনতলা ঘর করেছে সেকান্দর উল্টো আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ডজন খানেক অভিযোগ দিয়ে রাখে।সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অদৃশ্য কারণ দেখিয়ে মামলা নেয় না।আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।সেকান্দর ও তার বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত মিনার বাদী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন ভর্তি ছিলেন বলে জানিয়েছেন।তার মাথায় ও ঘাঁড়ে জখম হয়েছে বলে এমসি মতে জানা গেছে।
উক্ত মামলায় প্রধান আসামি সেকান্দর হোসাইন ছাড়াও তার চার সহযোগিকে আসামি করা হয়েছে।
এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তদন্ত আবু সাঈদ বলেন,আদালতের একটি মামলা থানায় পৌঁছেছে।দ্রুত এফআইআর করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে
Discussion about this post