রুপন দত্ত –আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ২৯০ চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি তার নির্বাচনী জনসভায় বলেন, নতুন প্রজন্মকে অনুরোধ জানাচ্ছি ৭তারিখ সকালে গিয়ে আপনাদের প্রথম ভোট দিয়ে আসবেন। নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট হোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট হোক নৌকার পক্ষে। সবাই লাইন ধরে ভোট দিবেন। আমি চাই সবাই উপস্থিত হয়ে ভোট দিবেন। বাঙালি জাতি নির্বাচনমুখী আর নির্বাচন সাংবিধানিক বিষয়।
মন্ত্রী বিএনপি-জামাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই নির্বাচন না হওয়ার জন্য বিএনপি-জামাত অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারা বলতেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন হতে। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন করি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারির নির্বাচন কি তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে হয়েছে? ২০০১ সালের নির্বাচন কি তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে হয়েছে? তারা নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কষ্ট দিয়েছে বাড়িতে থাকতে দেয়নি। তারা এই দেশের ভালো চাই না। তারা বিদেশিদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই। আমি তাদের বলি, আরে ভাই! বিদেশিদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা যাবে না। ক্ষমতায় আসতে চাইলে দেশের মানুষের ভালোবাসা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া রুপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে বারশত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ উদ্যোগে আয়োজিত জনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আমার লাগবে। আমি মরলে যাতে সবাই আমার জানাযায় উপস্থিত হয়। কিন্তু যে মানুষ অন্যায় অবিচার করে তাদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই৷ নির্বাচন এসেছে সবাই মিলেমিশে কাজ কর। যদি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমার জন্য কাজ কর নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করিয়েন না। পরিশেষে ৭ তারিখ মা-বাপ, ভাই-বোন আমাকে ভোট দিতে যাবেন। তখনই বুঝবো আপনারা আমাকে কতটুকু ভালোবাসেন।
এসময় বারশত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মহি উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মঈন উদ্দীন গফুর খোকনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আলমগীর চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মণ্ডলীর সদস্য এম এ হান্নান মনজু, দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এম এ মালেক, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ.মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম চৌধুরী বাবুল, সুগ্রীব মজুমদার দোলন, সাংগঠনিক সম্পাদক সগীর আহম্মেদ আজাদ, আব্দুল মালেক, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, সমর কান্তি নাথ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছৈয়দ, সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমান, ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post