আমিনুল ইসলাম রুবেল -চন্দনাইশ:
পবিত্র মাহে রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নে পবিত্র জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আজ (২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার) সকালে ধোপাছড়ি তৈয়বিয়া আজিজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ধোপাছড়ি ইউনিয়ন শাখার যৌথ আয়োজনে বণার্ঢ্য র্যালিটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গন হতে ধোপাছড়ি বাজার ও শান্তিবাজারের প্রধান প্রধান সড়কগুলি পদক্ষিণ করে মাদ্রাসার মাঠে এসে শেষ হয়। পরে মাদ্রাসা ময়দানে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল গফুর খানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন ধোপাছড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যন আব্দুল আলীম। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্তিত ছিলেন মাওলানা সিরাজ উদ্দিন আলকাদেরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান এম মোর্শেদুল আলম, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনাইশ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাম্মেল হক তালুকদার,সাগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোজাম্মেল হক। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ধোপাছড়ী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ মুহাম্মদ আলী,মাওলানা আবুল কাশেম জিহাদী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান,মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম আলকাদেরী, মাওলানা নাজিম উদ্দিন জোহাদী, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, মাওলানা আক্কাস উদ্দিন,মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন জনি, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,মুহাম্মদ নুর হোসেন,মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, মুহাম্মদ বাহাদুর, মুহাম্মদ মাষ্টার আমির, মুহাম্মদ নাছির উদ্দীনসহ গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ধোপাছড়ী ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন ধোপাছড়ী ইউনিয়ের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিথিরা বলেন,আল্লাহর রহমত হিসেবে ১২ রবিউল আউয়াল পৃথিবীতে আবির্ভূত হন আমানের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (দ.)। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তার সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ্য, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন। অতিথিরা আরো বলেন, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পরিচয় প্রকাশ করা। নবী-রাসুল প্রেরণের লক্ষ্য হলো মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাই আল্লাহকে পেতে রাসুলুল্লাহ (দ.) এর আদর্শ অনুসরণ করতেই হবে। রাসুলে আকরাম (দ.) যা করেছেন বা করতে বলেছেন, তা করতে হবে। আর যা করেননি বা করতে বারণ করেছেন,তা বর্জন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের উদ্দেশ্যে কোরআনের নির্দেশনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করাই ইসলামের মূল শিক্ষা।
Discussion about this post