এম. সাইফুল্লাহ চৌধুরী, লোহাগাড়া( চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কলাউজানে বৃদ্ধের দায়ের কোপে আবদুল জব্বার (৪৬) নামে স্থানীয় এক বৈদ্যের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কলাউজান হরিনা এলাকার আবদুল করিমের পুত্র। ঘাতক বৃদ্ধ মো. আবদুর রহিম (৬০) একই এলাকার বাঁচা কাইথাংয়ের পুত্র। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়া মালেক সওদাগরের দোকানের পশ্চিম পাশে সড়কের উপর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একইদিন আহত বৈদ্যের স্ত্রী সামশুন নাহার (৪১) বাদী হয়ে বৃদ্ধ মো. আবদুর রহিমকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়, আহত ব্যক্তি একজন বৈদ্য (কবিরাজ)। অভিযুক্ত বৃদ্ধ কোন কারণ ছাড়া প্রায় সময় ওই বৈদ্যকে গালমন্দ করতেন। ঘটনারদিন বৈদ্য আবদুল জব্বার স্থানীয় এক দোকান থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বৈদ্যর পথরোধ করে বৃদ্ধ আবদুর রহিম বলেন ‘তোর এই বৈদ্যতার কারণে আমার সমস্যা হচ্ছে’। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কোপ মারলে প্রথমে বৈদ্যের মাথার ডান পাশে মারাত্মক রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর বৃদ্ধ রহিম পুণরায় দা দিয়ে কোপ মারলে বৈদ্যের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত বৈদ্য আবদুল জব্বারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এছাড়া আটক করেন বৃদ্ধ আবদুর রহিমকে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। আহত বৈদ্যের স্ত্রী সামশুন নাহার জানান, বৃদ্ধের দায়ের কোপে তার স্বামীর কব্জি বিচ্ছিন্ন ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। তার স্বামী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ঘাতক বৃদ্ধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, দায়ের কোপে কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় বৃদ্ধ আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত বৈদ্যের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার বৃদ্ধকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Discussion about this post