রুপন দত্ত – আনোয়ারা : আনোয়ারা উপজেলার দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে বিরোধ এখন ওপেন সিক্রেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরকে নিয়ে দিচ্ছে স্টাটাস। যা সাধারণ মানুষের কাছে হাস্যরসে পরিনত হয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছে,তবে কি দূর্নীতি কিংবা ভাগাভাগিতে তাদের হিসেব মিলছেনা? দুই ইউনিয়নের এসব জনপ্রতিনিধিদের একে অপরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব আলোচনার বিষয় গুলো এখন আনোয়ারার মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফার ইয়াসমিন বলেন,পরিষদের সব কিছু থেকে তাকে বঞ্চিত করছেন চেয়ারম্যান। জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।কিন্তু সে জনগণকে তিনি কোন সেবা দিতে পারছেন না চেয়ারম্যানের কারণে। এই বিষয়ে চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন,আমি ঐ নারী সদস্যকে অনৈতিক কোন সুযোগ সুবিধা দেইনি বলে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনগড়া লিখে যাচ্ছেন। অপরদিকে বারাসাত ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে মত বিরোধ চলছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে জানা যাচ্ছে। ইউপি সদস্য তোহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বিলকিস আক্তার তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন সময় স্ট্যাটাস দিচ্ছে। যা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই যে দিচ্ছে সেটা স্পষ্ট।সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য বিলকিস আক্তার বলেন, জনগণের পাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যতাই তিনি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করারও কথা বলেন।অপরদিকে ইউপি সদস্য তোহিদুল হক বলেন, সামান্য চালের কার্ড নিয়েও চেয়ারম্যান পক্ষপাতিত্ব করেন। অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। এই বিষয়ে বারাশত ইউপি চেয়ারম্যান এম কাইয়ুম শাহ বলেন, আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি, ওরা আন্দোলন করে আসুক। দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে বিরোধের বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতিয়াক ইমন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনিক বিষয়ে যথাযথ তদন্ত ছাড়া কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়।
উল্লেখ্য এর আগেও বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের মধ্যেও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনা ঘটেছিল।যা দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত টিম পর্যন্ত গড়াই।
Discussion about this post