সিনিয়র রিপোর্টার- মোঃ আব্দুর রাজ্জাক:
লালমনিরহাট সদর থানার গোকুন্ডা ইউনিয়নের
রতিপুর পশ্চিমপাড়ার সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরে থাকা স্বর্ণলংকার চুরি ও তিনটি মুর্তি ভাংচুর করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, এজাহার ও ঘটনার বিবারণে জানা যায়, মন্দিরের সেবায়েত মহাদেব চন্দ্র রায় (২৮)গত (১১ জুলাই ২০২৩) সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০মিনিট সময়ে পুঁজা অর্চনা শেষে মন্দিরের দরজার তালা বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। পরের দিন(১২ জুলাই ২০২৩)সকাল অনুমান ০৭.০০মিনিট সময়ে, তিস্তা মাঝাপাড়া গ্রামের মৃত তারা মহন রায়ের পুত্র দেবেন চন্দ্র রায় (৫৫) সে তাঁর পাটের জমি দেখার জন্য যাওয়ার পথে দেখতে পান উক্ত মন্দিরের দরজার তালা ভাঙ্গা এবং মুর্তি গুলি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে, তখন দেবেন চন্দ্র স্থানীয় লোকজন ও মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস কে খবর দিলে,তখন দিলিপ সহ স্থানীয় লোকজন মন্দিরে আসিয়া দেখেন। কে বা কাহারা মন্দিরের লোহার দরজার ২টি তালা হেক্স বেলেড দিয়ে কেটে মন্দিরে ভিতরে প্রবেশ করে ৩ টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে এবং মন্দিরে থাকা প্লেন সীটের বড় বাক্সের তালা ভেঙ্গে ভিতর রক্ষিত ভক্তদের দানের কালি প্রতিমার গলায় ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, নাকের নথ বড় ১৫ টি, ছোট ৫টি, টিকলি ২টি, মেডেল ২টি, রুপার নুপুর ১০ জোড়া, কাসার থালা ৩টি,বাটি ৬ টি,কাসার গ্লাস ৫টি, কাসার তৈরি ঘন্টা ১টি, পিতলের করতাল ১ জোড়া, হর্স পানির পাম্প ১টি, সোলালের ব্যাটারি ১টি, গ্যাসের চুলা ও স্যালেন্ডার, আরও মুল্যবান আসবাবপত্র, বক্সে থাকা নগদ, ১৩,৯৮৫ টাকা, সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণের অলংকার ও মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
উক্ত বিষয়ে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক, মৃত ফটিক চন্দ্র দাসের পুত্র শ্রী দিলীপ কুমার দাস (৬৪) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় গত (১২ জুলাই ২০২৩)একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ২৪/৩৪৬।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, (১৩ জুলাই) তিন জন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল, জিজ্ঞাসা বাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। (১৪ জুলাই )আরও একজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, আরও কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তাঁদের কেউ চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার চওড়াটারী গ্রামের ১। মৃত মজিবর রহমানের পুত্র মোঃ কাওছার আহমেদ (৩৩),২। আফজাল হোসেনের পুত্র মোঃ নুর আমিন (৩০), ৩। রতিপুর বানিয়াটারী গ্রামের মৃত কোমদ চন্দ্র বর্মণ এর পুত্র শ্রী নীল চন্দ্র বর্মণ (৩০), ৪। মহেন্দ্র নগর ইউপির,সাত পাটকী গ্রামের মৃত আবুল বাশারের পুত্র মোঃ রাজু মিয়া (৩৫)।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন এবং দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Discussion about this post