সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক:
ভোলার চরফ্যাসানে স্বপন দাসের ৬২ শতক জমির আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, স্বপন দাসের ওয়ারিশ পার্থ দাস স্বপন দাসকে না জানিয়ে জমি বিক্রি করে দেয়, উপজেলার মৃত নুর মোহাম্মদ এর পুত্র আবুল হোসেনের নিকট পরে স্বপন জমি বিক্রির কথা জানতে পারে জমির টাকা আদালতে দাখিল দিয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আবুল হোসেনকে বিবাদী করে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞ আদালত গত(৬ জুন ২০২৩) স্বপন দাসের পক্ষে নিষেধাজ্ঞার রায় দিয়েছে মামলা নং ৩৬ এবং ৩৭/২৩।
আদালতের রায়কে মানছে না আবুল হোসেন গংরা, আদালতের মামলা পরিচালনা করে হেরে গিয়ে এখন জমিতে হামলা চালিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে আবুল হোসেন গংরা।
স্বপন দাস জানান, আদালতে রায় পাওয়ার পর গত (১৭ জুন ২০২৩) থানায় জিডি করেও আইনি সহায়তা পাননি, এমনকি বিষয়টি ভোলা পুলিশ সুপারের নিকট জানানো হলেও কোনো আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না, পুলিশ আইনি ভাবে কোন সহযোগিতাই করছে না বলে জানান।
স্বপন দাস নিরুপায় হয়ে ডি এম ডাব্লুর সভাপতি নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমি নিরুপায় আমি আইনি ভাবে কোনো সহযোগিতাই পাচ্ছিনা, আমার জমি জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে, উপজেলার, ছাত্র লীগের সভাপতি ১। সোহাগ, ২। আবুল হোসেন ৩। মোর্শেদ আলম নেওয়াজী, ৪। শহীদুল হক, ৫। নিজামউদ্দিন ৬। রাশেদসহ তাদের দলবল নিয়ে জোর পূর্বক আমার জমি দখল করছে।
স্বপন দাস আরও জানান, উপজেলার ছাত্র লীগের প্রভবে এবং অন্যান্য প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমার জমি জোর পূর্বক দখল করছে।স্বপন দাসকে আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষে বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি স্বপন দাসকে সঙ্গে নিয়া মানয়ীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং উক্ত ঘটনার বিষয়টি জানানো হলে তিনি বিষয়টি ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ, কে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য বলেন, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং ডিআইজির সহায়তায় অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েছে।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
Discussion about this post