সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক :
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বড়িবাড়ী গ্রামের মুকুল চন্দ্র মিত্র (৬০)এর মেয়ে রীনা মিত্র (১৯)কে গত (২৩ জুন ২০২৩)রাত অনুমান ০৯.৩০ মিনিট সময়ে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, এজাহার ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের জগদীশ চন্দ্র ভৌমিক এর পুত্র সঞ্জয় চন্দ্র ভৌমিক (৩৫) এর সাথে নিহত রানী মিত্রের দুই বছর পুর্বে পরিচয় হয়ে তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, বিবাহের পর প্রথমের দিকে নিহতের পরিবার থেকে বিষয়টি মেনে নেওয়া হয় না, এদিকে বিবাহের পর রানী মিত্র জানতে পারেন যে সঞ্জয় ভৌমিক ইতি পূর্বে আরও একটি বিবাহ করছেন এবং প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান আছে, একারনে নিহত রানী মিত্রের সাথে বনিবনাত না হওয়ায় নিহত রানী মিত্র তার বাবার বাড়ীতে ফিরে আসে এবং বাবার বাড়ীতে থেকে কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন, এদিকে সঞ্জয় ভৌমিক মাঝে মাঝে নিহত রানী মিত্রের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন।
ঘটনার দিন প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়া দাওয়া শেষে নিহত রানী মিত্র তার সয়ন ঘরে গিয়ে পড়তে বসেন, নিহতের ভাই ও বাবা তাদের নিজ সয়ন ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, এদিকে নিহতের মা অসুস্থ্য থাকায় পাশের বাড়িতে কবিরাজের নিকট যান কবিরাজ বাড়ীতে না থাকায় নিহতের মা বাড়ীতে ফিরে আসে দেখেন তার মেয়ের বুকে ছুরিবিদ্ধ, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পরে আছে তখন তার ডাকচিৎকারে তার ছেলে স্বামী ও প্রতিবেশীরা আগাইয়া আসে এই অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা থানা পুলিশকে খবর দেয়।
থানা পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী ও পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন,পরের দিন ২৪ জুন শনিবার সকালে পলাশ থানার উপপরিদর্শক সামসুল হক নিহত কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে নিহতের বাবা মুকুল চন্দ্র মিত্র (৬০) বাদী হয়ে নিহতের স্বামী সঞ্জয় চন্দ্র ভৌমিক (৩৫)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ১/২ জনকে আসামি করে গত (২৫ জুন ২০২৩) পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৭ । এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন নিসংশখুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
Discussion about this post