আনোয়ারা প্রতিনিধি :আনোয়ারা উপজেলার ২নং বারশত ইউনিয়নের পশ্চিম চাল গ্রামে পাহাড়ের পাশে অনুপযোগী মেডিকেল আইনে নিষেধ থাকা সত্বেও একটি আবাসিক বিল্ডিং এ ঘর ভাড়া নিয়ে সূর্যের হাসি ক্লিনিক নামের ক্লিনিকে চলছে অনিয়ম ও দূর্নীতি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে করা হইছে অভিযোগ ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , সরকারী ইপিআই টিকাদান সম্পূর্ন ফ্রি হলেও নেওয়া হচ্ছে ৯০টাকা করে। মাতৃত্ব সেবার নাম হলেও ক্লিনিকটিতে নামে মাত্র রেজিস্ট্যার্ড এম.বি.বি.এস. মহিলা ডাক্তার আছে এক জন, যিনি সপ্তাহে একদিনে দুই ঘন্টা বসেন। শিশু স্বাস্থ্যের কথা বলে ১জন ৭০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী ডাক্তার আসে। সকাল ১০টায় আসে এবং দুপুর ১২ টায় দিকে চলে যায়। ২৪ ঘন্টার ভিতরে ডেলিভারী হলে শিশুর চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে প্যারামেডিক অন্যজনকে দিয়ে শিশু ডাক্তারের ট্রেনিং আছে বলে শিশুদের চিকিৎসা করায়, যা সম্পূর্ণ অনিয়ম। যাহা ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেখলে বুঝা যায়, এবং রোগীদের থেকে অতিরিক্ত ডেলিভারী চার্জ নেওয়ার পর নির্যাতন চলে বখশিশের জন্য। বখশিশ নামে হেনস্তার স্বীকার হচ্ছে রোগী স্বজনরা। বর্তমান ক্লিনিক ম্যানেজার শাহরুল ইসলামের বিরদ্ধে ও রয়েছে নানান অভিযোগ, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজার এবং নার্সের একান্ত সময় কাটানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে।এরকম খারাপ চরিত্রের লোক দিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভুক্তভোগী ৪নং বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য রুবি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সরকারী ইপিআই টিকাদান সম্পূর্ন ফ্রি। আমার নাতিকে আনোয়ারা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে শিশু টিকা দেওয়ার জন্য ৯০ টাকা দাবি করেন। সরকারী ইপিআই টিকাদানে অনিয়ম ও দূর্নীতি হচ্ছে বলে আমি মনে করি। অপর ভুক্তভোগী মোঃ রুবেল বলেন, সন্তান কে টিকা দিতে নিয়ে গেলে টাকা দাবির পাশাপাশি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।
ক্লিনিক ম্যানেজার শাহরুল ইসলাম বলেন, সরকারী ইপিআই টিকাদানের জন্য টাকা নেওয়া হয়নি। এটা নিবন্ধন এর টাকা নিয়েছি।কিছু লোক কাজ করে না, এদের ছাঁটাই করছি। এরাই অভিযোগ দিছে, এটা ভিত্তিহীন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার সাথে নার্সের ছবিগুলো এডিট করা।
ক্লিনিকের চট্রগ্রামের সুপারভাইজার ডাঃ মোস্তফা আল নাঈম বলেন, সরকারী ইপিআই টিকাদান এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।আর ম্যানেজারের নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারী ইপিআই টিকাদানে অনিয়ম এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সিভিল সার্জন এটার তদন্ত করছে ।এখন টিকা দান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সরকারী ইপিআই টিকা সম্পূর্ন বিনামূল্যে দেওয়া হয়। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post