আনোয়ারা প্রতিনিধি :চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক উচ্চবিদ্যালয় সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই সড়ক পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান ও ঠিকাদার দেবু দাশ। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ইউপি সদস্য ইলিয়াছ কাঞ্চন রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, হাত দিয়ে টান দিলেই সড়কের কারপেটিং উঠে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, ধুলামিশ্রিত নিম্নমানের পাথর এবং পরিমাণে কম ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় সড়কের কারপেটিং উঠে যাচ্ছে। গত রবিবার রাস্তাটির কারপেটিং করা হয়। কিন্তু সোমবার রাত থেকে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে কারপেটিং উঠে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধুলামিশ্রিত পাথর ব্যবহারের সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও তা মানা হয়নি।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কারপেটিং তুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। কারপেটিং করার আগে বিটুমিনের প্রাইম কোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা। এ সময় কারপেটিং ভেতরের অংশে নিম্নমানের কংক্রিট দেখা যায়।
জানা গেছে, ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটারের সড়কের সংস্কারকাজ করছেন সাইরেদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধীনে এই কাজ তদারক করছেন উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান।
সাইরেদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমরা কোথাও নিম্নমানের কাজ করিনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থানীয়রা কারপেটিং তুলে নিয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, কারপেটিংগুলো স্থানীয়রা হাত দিয়ে তুলে ফেলছেন। আমরা মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। আমার কাছে একটি ভিডিও রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি কারপেটিং তুলে ফেলছেন। আর কারপেটিং শক্ত হতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, তারা বিভিন্ন সড়কের কাজে দেখেছেন, কারপেটিং শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা শক্ত হয়ে যায় এবং ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে পারে।
Discussion about this post