মোহাম্মদ ওমরফারুক : চন্দনাইশ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিরল প্রজাতির দুটি রাজ ধনেশ পাখিসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল ২৮ মে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ধনেশ পাখি পাচারকালে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (৪৭) কে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আটককৃত মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার সিংহাসন এলাকার মৃত ফজিআর রহমানের ছেলে। তিনি শ্যামলী পরিবহন গাড়িটির সুপারভাইজার।চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,ধনেশ পাখিগুলো আলীকদম থেকে এনে চকরিয়া রুট দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ব্যবহার করে সাতক্ষীরা নেওয়া হচ্ছিলো। পরে সেখান থেকে ভারত পাচারের পরিকল্পনা ছিল তার। গোপন সংবাদ পেয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তল্লাশি করে বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ দূইটি পাখি উদ্ধার করা হয়। এবং পাচারকারী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকেও আটক করা হয়েছে৷ পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাচারকারীকে ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর রহমান বলেন ১২শ টাকায় চকরিয়া থেকে ঢাকা গাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। সেখান থেকে ভারতে পাচারের জন্য সাতক্ষীরায় নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে তারা এ রুটে সফল হতে পারছে না। গত বৃহস্পতিবারও বাঁশখালী ও আনোয়ারায় এ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। এদিন তাদের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে পরিকল্পনা ছিল। তবে আমাদের তৎপরতার কথা শুনে তারা হঠাৎ রুট বদল করে। রুট বদলালেও বাঁশখালী থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, পাচারকারীরা বন্যপ্রাণী ও বন্যপাখিগুলো বান্দরবান জেলার আলীকদম, লামা, চকরিয়া, লোহাগড়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, ঢাকা হয়ে গাজীপুর নেয়। সেখানে সাতক্ষীরা রোডে বিদেশে পাচার করে থাকে। এভাবে বন্যপ্রাণী পাচার হতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক প্রাণী চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমরা বিষয়টি কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছি।
উপজলো সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজ ধনেশসহ ওই পাচারকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাভ আদালতে তিনি অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে চারমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ পাখিগুলো বনবিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা পাখিগুলো অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করবেন।
Discussion about this post