এ যেন এক নিয়মেই পরিণত হয়েছে। পালা করে প্রতি দু’ঘন্টা পর পরবর্তি এক ঘন্টার জন্য চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ, আবার কখনো কখনো ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন কাটাতে হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলার শিল্পাঞ্চল খ্যাত আনোয়ারাবাসিকে।
জুলাই আগষ্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও সেপ্টেম্বরের শুরুথেকেই নিয়মিত চলছে আনোয়ারায় পল্লী বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজি। দেখার যেন কেউ নেই, নেই কোন জবাবদিহিতা, বিদ্যুতের এহেন আচরণের কাছে এক প্রকার অসহায় সাধারণ মানুষ।
সরকারি হিসাব মতে দেশে বর্তমানে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় সমান। বিভিন্ন যৌক্তিক কারনে সারাদিনে (২৪ঘন্টায়) সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং করার কথা থাকলেও সরকারি এসব হিসাব নিকেশকে মিথ্যে বলেই মনে হচ্ছে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুতের এই অসম লোডশেডিং দেখে।
এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুতের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও মিলছেনা কোন সদুত্তর। এক প্রকার বিরক্তি প্রকাশেই কেটে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল কল।
আনোয়ারা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক এসোসিয়েশনের আহবায়ক এম, কামাল উদ্দিন জানান, শুধু লোডশেডিংই নয় বিদ্যুৎ বিলসহ নানা সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আমারা বারবার কথা বলেও সমাধান পাচ্ছি না । কর্মকর্তাদের আচরণে মনে হয় পল্লী বিদ্যুতে গ্রাহক সেবা নামে কোন অপশনই নেই।
সাধারণ লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাছে এক প্রকার জিম্মি আমরা, যে কোন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাওয়াটাই যেন দোষের। সদুত্তরতো মিলছেই না তার উপর হুমকি দেওয়া হয় বাড়াবাড়ি করলে লাইন কেটে দেওয়া হবে, মিটার খুলে নিয়ে আসা হবে ইত্যাদি।
পল্লী বিদ্যুতের এই অসহনীয় স্বেচ্ছাচারিতায় আজ অতিষ্ট আনোয়ারাবাসী, তারা এ সমস্যার আশু সমাধান চান।
Discussion about this post