মোহাম্মদ ওমরফারুক চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ১ নং কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে বসত ঘর পুড়ে ছাই
হয়েছে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি করে মোট ৪টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘণ্টার অধিক সময়ের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িতে থাকা দামি আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ আগুনে পুড়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের দাবি প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।আগুন লাগার সময়ে বাড়িতে থাকা মোহাম্মদ হাবিবুল বশরের ছেলে মোহাম্মদ মাহাতাফ হাবিব (১৫) নামের একজন আহত হয় এবং চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ সাজু নামের একজনকে গুরুতর আহত হওয়ায় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়।
২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার নাগাদ চন্দনাইশ উপজেলার ১ নং কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মুন্সি কেয়ামত আলী চৌধুরী বাড়ি তথা চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ির উত্তর পাশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হলেন, মৃত আবুল বশরের ছেলে যথাক্রমে মোহাম্মদ মাহাবুল বশর, মোহাম্মদ সাইফুল বশর, মোহাম্মদ হাবিবুল বশর, মোহাম্মদ আবুল হোসেনের ছেলে যথাক্রমে মোহাম্মদ আবু তাহের ও মোহাম্মদ জাফর আহমদ, নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও পিবলু।ক্ষতিগ্রস্থ হাবিবুল বশর বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ একটি ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে মুহূর্তেই আগুন পাশের রুম গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চন্দনাইশ ও পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় ১ঘন্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার ছেলে মাহাতাফ হাবিব মাহি (১৫) আহত হয়।চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার রাখাল চন্দ্র রুদ্র বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি করে মোট ৪টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এবং স্থানীয় এলাকা বাসির সহায়তায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তেই অন্য কক্ষগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা মোহাম্মদ সোলাইমান ফারুকী, ২ নং জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন প্রমুখ।
Discussion about this post