অধিকার ডেস্ক :বৈশাখের প্রখর রোদে প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মেঘহীন আকাশ, বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করছে। অস্বাভাবিক খরতাপে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেচনির্ভর বোরো ধান নিয়েও কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং-ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নানা রকম রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। আকাশ মেঘহীন। বৃষ্টির দেখা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেচনির্ভর বোরো ধানের উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। প্রচণ্ড রোদে আম-লিচুর গুটিও ঝরে পড়ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশ ও পাশের অঞ্চলে মাঝেমধ্যে বিকালের দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ যে প্রচণ্ড কালবৈশাখি হয়। এ ঝড়-বৃষ্টি অনেক সময় ক্ষতিকারক হলেও তপ্ত আবহাওয়া শীতল করতে ভূমিকা রাখে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বৈশাখে বৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বৈশাখের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রকৃতিকে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করছে। ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে ডায়রিয়ার প্রকোপও দেখা দিয়েছে। গরমে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে। তবে দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
Discussion about this post