আনোয়ারা প্রতিনিধি :চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ডিলার মোহাম্মদ নাছিরের বিরুদ্ধে। চাল না পাওয়া সুবিধা বি দেও সাথে কথা বলে জানা গেছে গত সাত মাসে সংশিলষ্টিদের সহযোগিতায় বরাদ্দের বেশির ভাগ চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে এই ডিলার। এতে করে চাল পাওয়া থেকে বি ত হয়েছেন হাজার হাজার সুবিধাভোগী। এনিয়ে সুবিধাভোগীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের জন্য দুজন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন- আনোয়ারা সদর ইউনিয়নে মো. নাছির ও ৮নং চাতরী ইউনিয়নে নজরুল। সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করার জন্য তাদের দুই মেট্রিক টন করে চাল নিয়মিত বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব বরাদ্দকৃত চাল তারা ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিনি পাঁচ কেজি করে ৪০০ জন দরিদ্রের কাছে বিক্রি করার কথা রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ডিলার মো. নাছির ওএমএস এর এই চাল নিয়ে চালবাজি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মাঠ পর্যায়ে ঠিক মত চাল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ,ওএমএস এর চাল বিক্রি করা দোকানটিতে লোক দেখানো কিছু চাল বিক্রি করলেও বরাদ্ধ অনুযায়ী চাল বিক্রি করে না এই ডিলার। এতে সরকারের এই মহৎ কর্মসূচী ভেস্তে যেতে চলছে আবার গরীব মানুষের চাল বেশি দামে বাজারে বিক্রি করে রাতারাতি বিপুল টাকার মালিক বনে গেছেন এই ডিলার।
এদিকে ভোক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ডিলার নাছির প্রতিনি ৩০ থেকে ৪০ জনকে চাল দিয়ে নানা অজুহাতে চাল দেয়া বন্ধ করে দেয়। পরে সেই চাল কায়দা করে বাইরে বিক্রি করে দেয়। গরীব মানুষের জন্য বরাদ্ধ করা এই চাল নিয়ে লুটপাটে মেতেছে ডিলার নাছির। এদিকে বাধ্য হয়ে সবাইকে বেশি দামে বাজার থেকেই চাল কিনতে হচ্ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিলার নাছিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। সবাইকে চাল দিচ্ছি। কিছু হয়ে থাকলে সামনে থেকে আমি সতর্ক থাকব। এবারের মত নিউজ করিয়েন না।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, ওএমএসের চাল নিয়ে ডিলারের এসব অনিয়ম কঠিনভাবে রোধ করা হবে। বিষয়টা আমি তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগ প্রমানিত হলে ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post