আনোয়ারা প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি রাস্তার অভাবে লাশ কবর দিতে গিয়েও যেন কষ্টের শেষ নেই।
রায়পুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ গহিরা এলাকায় লাশ কবরস্থানে নিতে মাড়াতে হয় হাঁটু পানি।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল ) খোর্দ্দ গহিরা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আমিরুজ্জামান (৬০) প্রকাশ বুড়ির বাপ মারা যান।তাঁর মরদেহ কবর দিতে গিয়ে হাঁটু পানিতে কাদা মাড়িয়ে নিতে হয়েছে কবরস্থানে। একটি সড়কের অভাবে শেষ যাত্রায় আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওয়াসিম বলেন, সারা বছর ধরে এখানে কাদা ও পানি থাকে। পানি যাওয়ার জন্য সরকার যে কালভার্টগুলো নির্মাণ করেছে সেগুলো অনেকেই বাড়ি তৈরির সময় ভরাট করে ফেলেছে। ছয়টি পাড়ার মানুষের জন্য এই কবরস্থানটি। সড়কটি নষ্ট হওয়ার পর আর কোনোদিন নির্মাণ হয়নি। প্রায় ২৫ বছর ধরে কবরস্থানে যাওয়ার কোনো রাস্তা না থাকায় আমাদের কষ্টের শেষ নেই । স্বজনদের কবর জেয়ারত বা লাশ দাফন করতে যাওয়ার জন্য পানি-কাদা পেরিয়ে যেতে হয় কবরস্থানে। কবরস্থানের জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন কাজ করা হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর বলেন,রাস্তার জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও অজানা কারনে এখনো কাজ শুরু করেনি।এটা নিয়ে এলাকাবাসীর কষ্টের শেষ নেই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, এই রাস্তার জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ঠিকাদার কাজটি পাওয়ার পরও আজ পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি। কেন করেনি তাও বলতে পারছিনা।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি ঠিকাদার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু না করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে টেন্ডার দেওয়া হবে।
Discussion about this post