আনোয়ারা প্রতিনিধি :অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আনোয়ারার হাইলধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ কবিরকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
জাতীয় দিবস পালনে অবহেলা, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলায় তাকে ‘দুর্নীতি পরায়ন’ সাব্যস্ত করে লঘুদণ্ডে (এক বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত) দণ্ডিত করা হয়।
রবিবার (২ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশপত্রে এ বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আদেশপত্রে উল্লেখিত তথ্য মতে, ২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার হাইলধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ কবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা- ২০১৮ এর ৩ (খ) “অসদাচরণ” ও ৩ (ঘ) বিধি মতে “দুর্নীতি পরায়ন” এর অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা (০৫/২০২৩) দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ১২ মার্চ শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪ (২) (খ) উপবিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এক বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করে ‘লঘুদণ্ড’ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারুল কাদের বলেন, গত বছর হাইলধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিলো। তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিনা। তবে কয়েকদিন আগে ওনার শাস্তি সম্মিলিত একটি চিঠি পেয়েছি, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজ কবিরকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাইলধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ কবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রায়ই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। তিনি ২০২০ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য প্রদত্ত সরকারি বরাদ্দের অর্থ খরচ না করে আত্মসাৎ করেছেন। একই বছর মহান বিজয় দিবসে স্কুলে উপস্থিত না থাকা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করাসহ দিবসের কোনো কার্যক্রম পালন না করা হয়নি।
এছাড়া করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথ পালন না করা, বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয় বাবদ স্লিপ খাত থেকে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট/ওয়ার্কশীট ও ভূয়া ছাড়পত্র সনদ বাণিজ্যে করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
Discussion about this post