আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
শত কোটি টাকার বেঁড়িবাধ হুমকিতে রেখে বালু তুলছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সভাপতি আলী আব্বাস ও ইউপি সদস্য গফুর। বিভিন্ন গণমাধ্যমে শত কোটি টাকার বাঁধে অবৈধ বালু মহলের সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জুঁইদন্ডী গোদারপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জব্দ করেন ৫০ হাজার ঘনফুট বালু।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ্ আল মুমিন জব্দকৃত শ্রমিকলীগের সভাপতি আলী আব্বাস ও ইউপি সদস্য আবদুল গফুরের একটি সিন্ডিকেটের বালু বহলটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় নিলামে তুলেন তিনি। এ সময় বরুমছড়া ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোহাম্মদ শফীক নামে এক বালু ব্যবসায়ী ৫০ হাজার ঘনফুট বালু ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনে নেন।
সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সভাপতি আলী আব্বাস ও ইউপি সদস্য আবদুল গফুরসহ ১৬ জনের একটি সিন্ডিকেট বিগত ২০ বছর ধরে শঙ্খ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব বালু ইউনিয়নের গোদারপাড়া এলাকায় শত কোটি টাকার নির্মিত বেঁড়িবাধের উপর বালু পয়েন্ট করে ভারী ট্রাকে বিক্রি করে আসছে। যার ফলে বরুমছড়া এলাকা থেকে জুঁইদন্ডী পর্যন্ত বেঁড়িবাধ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ্ আল মুমিন বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। এসব বালু উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে পরিমাপ করে সোমবার দুপুরে নিলামে তোলা হয়। নিলামে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনে নেন বরমচড়া ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোহাম্মদ শফীক নামে এক বালু ব্যবসায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার যেসব স্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ঐসব এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
Discussion about this post