আনোয়ারা প্রতিনিধি
অবশেষে আনোয়ারা থেকে বদলী হতে যাচ্ছেন আলোচিত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম।
তার বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ আসছে। অবশেষে তিনি আনোয়ারা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাকে পিরোজপুর সদরে বদলি করা হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই বদলি আদেশ এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি বিগত প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে একই উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি অন্য দুটি উপজেলারও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেন।
এদিকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা আদায়, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকেই শুধুমাত্র আনোয়ারা উপজেলা থেকেই কামিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার মত অর্থ বিত্ত ও সম্পদ।দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার কারণে তিনি উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা – কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ঠিকাদার ও কিছু সুবিধাভোগী সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলে ছিলেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তিনি নিজেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চেয়েও বেশী শক্তিশালী হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে চাইতেন। তার বিরুদ্ধে সিনিয়ারদের সম্মান না করারও অভিযোগ রয়েছে। তাকে দেখে বা তার কার্যকলাপে বোঝা যেতোনা তিনি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নাকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি পুরো সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করে যেকোন অসাধ্য কাজকে সাধ্য করে ফেলতেন। পাহাড় কাটা, মাটি কাটা, ইট বিক্রি, ঠিকাদার এর কাছ থেকে অবৈধ অর্থ আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ঠিকাদার এর কাছ থেকে অবৈধ অর্থ আদায়ের জন্য প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদেরও ব্যাবহার করতেন তিনি। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি জিডিও করেন স্থানীয় ঠিকাদার ছাদেক আলী নামে একজন।গত কয়েকদিন ধরে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাস্তার ইট বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ শিরোনামে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। ফলে তার সাথে অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলা সেই সব সুযোগ সন্ধানীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। যেকোন দিন এই কর্মকর্তা আনোয়ারা ছেড়ে চলে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
Discussion about this post