শফিক উল্লাহ হাবীব ইমন – মহেশখালী
কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রায় চার লাখ মানুষের বসাবাস। জেলা শহর কক্সবাজার আসা যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হল মহেশখালী জেটিঘাট। কক্সবাজার থেকে সড়কপথে যাতায়াত করার সুযোগ না থাকায় প্রতিদিন জীবিকার তাগিতে হাজারো মানুষেকে নৌ পথে জেলা শহর কক্সবাজার যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে মহেশখালীতে ছুটে আসে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকরা। মহেশখালীতে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। নানা অনিয়ম,অসংখ্য দূর্ঘটনা ও যাত্রীদের হয়রানি স্বীকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব অভিযোগের পরও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে গত শুত্রুবার (৫ আগস্ট ) রাতে ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন, ও অকটেনের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকা। এই সুযোগে স্পীড বোট চালকরা জনপ্রতি ৮৫ টাকা ভাড়া থেকে বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা করে নিচ্ছে। সকাল থেকে সকল যাত্রীরা ১৪০ ভাড়া দিয়ে পারাপার করেছিলো। ভাড়া কমাতে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝর উঠাতে, পরে প্রায় ১২ টার দিকে জনপ্রতি স্পীড বোট ভাড়া ১২০ টাকা এবং গামবোট ৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন মহেশখালী।
প্রতি বছর এ জেটি থেকে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও জেটি সম্প্রসারণে কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যাথা নেই বলে অভিযোগ করেন জেটিঘাট পারাপার হওয়া ভুক্তভোগীরা।
১৯৮৮ সালে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মহেশখালী জেটি নির্মাণ করা হয়। একই সঙ্গে জেটির পাশে আধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পলি জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় সংকুচিত হয়ে যায় ঘাট সংলগ্ন নৌপথ। চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এদিকে সাগর উত্তাল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিতে পারাপার করছে যাত্রীরা, নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হচ্ছেনা লাইফ জ্যাকেট। সিলেট থেকে বেড়াতে আসা এক পর্যটক বলেন, আমরা পরিবারসহ কক্সবাজার ঘুরতে এসেছি। শুনেছি মহেশখালীতে একটি দ্বীপ আছে, দেখতে বেশ সুন্দর। তাই মহেশখালী যাওয়ার জন্য ঘাটে এসেছি। ঘাটে কোনো শৃঙ্খলা নেই। এছাড়া স্পীডবোটের চালকের কাছে লাইফ জ্যাকেট খুঁজে পায়নি।
এলাকাবাসীর সময়ের দাবী এ জেটিঘাট আর সংস্কার না করে খুরুশকুল চৌফলদন্ডী থেকে মহেশখালী ঘাট পর্যন্ত সেতুর বাস্তবায়ন করা হোক। এ সেতু বাস্তবায়নের জন্য কয়েকবার মানববন্ধনও করা হয়ে ছিলো।
Discussion about this post