জোঁক আতংকে আনোয়ারার কৃষক ও গ্রামীন জনগোষ্ঠী
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে আমানের বীজতলা পানি বন্ধি থাকায় এমনিতেই আমন রোপনের সঠিক সময় পার হয়ে গেছে। এর উপর এবার বীজতলা থেকে পানি নেমে গেলেও জোঁকের উপদ্রবে ভয়ে জমিতে নামতে সময়ক্ষেপণ করছে কৃষকরা। যার ফলে বীজতলাতেই নষ্ট হচ্ছে আমন ধানের চারা।
সরেজমিনে উপজেলার ১ নং বৈরাগ ইউনিয়নের আমান উল্লাহ পাড়া, খান বাড়ি, ফকির খিল, বৈরাগ, এবং বারশত, বরুমচড়া ও বারখাইন ইউনিয়নের বেশকটি গ্রামে ঘুরে দেখা যায় জোঁকের আক্রমণের ভয়ে জমিতে নামতে চাচ্ছে না শ্রমিকরা, যারা ভয় কাটিয়ে চারা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে জমিনে নামছে তাদের শরীরজুড়ে জেঁকে বসে রক্তচুষা এ জীবটি।
জোঁক-যন্ত্রণার বর্ণনা দিতে গিয়ে বশর নামের এক শ্রমিক জানান, জোঁকের জ্বালায় আর বাঁচি না ভাই। কখন যে কামড়ানো শুরু করে টেরও পাওয়া যায় না। কিছুক্ষণ পর একটু চুলকায়। চুলকানি দিতে গেলেই বোঝা যায় এটা জোঁক। যেই একটা ডলা দেই, ধুপ করে নিছে পড়ে যাই। কিন্তু এরপরই শুরু হয় যন্ত্রণা। জোঁকের যন্ত্রণা না থাকলে এই ধান চারা আরও আগে রোপণ করতে পারতাম।
বশরের সঙ্গে একমত পোষণ করে অপর শ্রমিক আমিন নূর বলেন, আমি কয়েকটাকে আগুনেও পুড়ে ফেলেছি।
জোঁক সমস্যা থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আশীষ সরকার জানায়, জোঁক তাড়ানোর মত কোন ওষধ নেই। তবে কৃষকরা যাতে জমিতে নামার সময় গামবোট, কেরাসিন, লবণ মিশানো পানি, চুন হাতে রেখে নামে তার পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়া কেরোসিন হাতে পায়ে লাগিয়ে ধান চারা রোপণ করার বিষয়েও তিনি পরামর্শ দেন।
Discussion about this post