অধিকার ডেস্ক
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তহসিলদারের যোগসাজশে প্রতারণামূলক মিস মামলার নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে একজনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ৬নং বারখাইন ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিমল সিকদারের শোলকাটা মৌজার (৪১৭নং বিএস খতিয়ান যার দাগ নং ৩৩৭৫ ও ৩৩৭৬ ) ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে প্রদীপ দত্ত নামে একজনের সাথে ।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রদীপ দত্ত জাল দলিল তৈরীকারী হিসেবে উপজেলা ভূমি অফিসের কালো তালিকাভুক্ত হিসেবে রয়েছে। ভূমির প্রকৃত মালিক প্রকৃতি রঞ্জন দত্ত প্রকাশ (সোনা বাবু) থেকে পরিমল সিকদার এসব ভূমি ক্রয় করে তাদের নামে নামজারি করে। পরবর্তীতে প্রদীপ দত্ত নামের একজন ভূমির বিরুদ্ধে আদলতে মামলা করলে আদলতে রায় পরিমল সিকদারের পক্ষে আসে। পরবর্তীতে বারখাইন ইউনিয়নের তহসিলদার আব্দুচ সবুরের যোগসাজশে পরিমল সিকদারের এসব জমির নামজারির উপর বেশ কয়েকটি মিস মামলার নোটিস জারি করে। যা পরিমল সিকদারের পরিবারেরকে হয়রানীর শিকার হতে হয়। সৃজত খতিয়ান নং ২০১৫ সূত্রে জানা যায় এসব জমির নামজারি পরিমল সিকদারের নামে থাকলেও স্থানীয় কিছু মানুষের নাম ব্যবহার করে এসব নামজারির বিরুদ্ধে মিস মামলার নোটিস জারি করে। এসব নোটিসের বিরুদ্ধে সহকারি কমিশনার (ভূমি)র কাছে সাক্ষী প্রদান করেন বাদীরা। যাদের কে বাদী করা হয়েছে তারা বলছে তারাও এসব বিষয়ে কিছু জানে না।
এসব ভুয়া মিস মামলার যাদের কে বাদী করা হয়েছে তাদের একজন অনিতি দত্ত বলেন, আমরা তো ওদের জায়গায় কোন জায়গা পায়না এসব আমরা কিছুই জানি না। আমরা কোন মিস মামলা করি নাই যা এ্যসিল্যান্ড স্যার কে বলছি।
হয়রানীর বিষয়ে পরিমল সিকদারের ছেলে সুপন সিকদার বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত যা জায়গা তা আমাদের নামজারি রয়েছে। এখন একজন লোক নামে বেনামে বিভিন্ন মানুষের নামে তহসিলদার আবদুচ সবুর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তার যোগসাজশে আমাদের হয়রানী করে যাচ্ছে এবং যাদের কে বাদী করা হয়েছে তারা এসবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। এ্যসিল্যান্ড মহোদয় একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বারখাইন ভূমি অফিসের তহসিলদার আব্দুচ সবুরের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও সে মোবাইলফোন রিসিভ করেনি।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, বাদী নিজে এসে স্বীকারোক্তি দেওয়ায় একটা মামলা খারিজ করা হয়েছে।
Discussion about this post