আনোয়ারা উপকূলে সাগরে মাছ শিকারে সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করছে প্রভাবশালী মৎস্যজীবিরা। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই তারা মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। উপকূলের ৮ থেকে ১০ প্রভাবশালী মৎস্যজীবি দিনে এবং রাতে উপকূলের উঠান মাঝির ঘাট, দোভাষীর ঘাট, পীচের মাথাসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে নামিয়ে এসব মাছ চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা কালাবিবির দীঘির মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছেন।
মাছ ধরা বন্ধে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লোক দেখানো কয়েকটি চালান আটক করলেও এসব প্রভাবশালীদের ধারেকাছেও যায়না।
জানা যায়, আনোয়ারা উপকূলে সরকার ঘোষিত সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কাজ করছে উপজেলা মৎস্য অফিস, সাঙ্গু কোস্ট গার্ড স্টেশন,বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
উপকূলীয় নৌ পুলিশ কয়েকটি মাছের চালান আটক করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্যজীবির কোনো চালান আটক করেনি।
জানা যায়, স্থানীয় দুই সোর্সের মাধ্যমে এসব প্রভাবশালী মৎস্যজীবিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞার সময়েও মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মৎস্যজীবিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাধারণ মৎস্যজীবি ক্ষোভের সাথে জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই চোখা নীতি উপকূলে। যারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তাদেরকে জাল বসাতে দেয়। তাদের মাছ আটক করেনা। সাধারণ কোনো মৎস্যজীবি জাল বসালে মাছসহ আটক করে জেল জরিমানা আদায় করে।
উপকুলীয় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমাদের চোখে সবাই সমান। মাছ শিকার বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। অভিযানে সামনে যাদের পাই তাদেরকেই ধরছি। এরকম কেউ করলে আমাদের অগোচরে করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা এম রাশিদুল হক বলেন, এ ধরণের অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। কেউ যদি আমার অথবা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post