অধিকার ডেস্ক
ঈদুল ফিতরের আমেজ কাটতে না কাটতেই দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কুরবানীর ঈদকে ঘিরে কুরবানির পশু কেনার সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কামার বাড়ীর টুংটাং শব্দে স্বরব থাকে। পশু জবাই করা, মাংস কাটা ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য প্রয়োজন হয় চাকু, চাপাতি, বঁটি, দাসহ নানা ধরনের উপকরণের। কোরবানির সময় দেশে লাখ লাখ পশু জবাই করা হয়। আর তাই কোরবানির আগমুহূর্তে কামারের দোকানে ছোটেন কোরবানিদাতারা। তাই এসব হাতিয়ার তৈরি ও মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কামরেরা।
সরেজমিনে উপজেলার বটতলী, আনোয়ারদ সদর, মালঘর কামার বাড়ীগুলো ঘুরে দেখা যায়, কেউ গলে যাওয়া লোহা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাতিয়ার তৈরির উপযোগী করছেন। কেউবা পশু জবাই করার ছুরি ধার করছেন। একটি হাতিয়ার তৈরি করতে লোহা অনুযায়ী দাম নেওয়া হচ্ছে। আর দোকানগুলোতে কেউ আসছেন পুরোনো ছুরি-কাঁচিতে শান দিতে। কেউ আসছেন নতুন কাজের অর্ডার নিয়ে। ঈদ সামনে রেখে পশু কোরবানির বড় ছুরি, ছোট ছুরি, চাপাতি, বটির চাহিদা বাড়ছে। যতোই কুরবানীর দিন ঘনিয়ে আসছে ততোই ব্যস্ততা আরও বাড়ছে বলে জানান কামারেরা।
উপজেলার জয়কালী হাটের নান্টু বর্মকার নামের এক কামার বলেন,পাকা লোহার তৈরি বড় বঁটি প্রতিটি ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি দা-বঁটি ৩০০ টাকা,পাগলু প্রতিটি ১৫০ টাকা, বড় ছুরি প্রতিটি ৬০০ টাকা, কুড়াল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, একটি পুরাতন হাতিয়ার মেরামত ও ধারালো করতে নেওয়া হচ্ছে ৫০-১০০ টাকা।কাঁচা লোহা, পাকা লোহা প্রত্যেকটির দাম বেড়েছে ৩৯-৬০/৭০ টাকা করে। তাই প্রতিটি লোহার হাতিয়ারের দাম বেশি পড়ছে। আর কাস্টমারদের থেকে বাড়তি টাকা চাইতে গেলেই নানান কথা শুনতে হয়।
শাহ আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, এক কেজি ওজনের ইস্পাত কিনে নতুন চাপাতি বানাতে দিয়েছিলাম কিছুদিন আগে। আজ সেটা নিতে এসেছি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সব কিছুর দাম একটু বেশি।
Discussion about this post