আনোয়ারা প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা সদরে হঠাৎ বেড়ে গেছে দোকান চুরির ঘটনা, গত ২০ দিনে চুরি হয়েছে অন্তত ছয়টি দোকান, ব্যবসায়ীরা রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে গেলেও মন যেন পড়ে রয় দোকানে, নির্ঘুম রাত কাটে নিজের দোকানটি চুরি হচ্ছে কিনা এই ভয়ে।
আনোয়ারা থানার অতি নিকটবর্তী এসব দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ জানেনা এর কিছুই। গত ১৮ জুন (শনিবার) দিনগত রাতে থানার পূর্ব গেইটের মাত্র ৫০ গজ দুরে চুরি হয়েছে দুটি দোকান, এর একটি হচ্ছে মোটর পার্টসের দোকান, অন্যটি মুদি দোকান। মুদি দোকানের মালিক কিরণ দাশ জানান, রবিবার ভোরে এসে দেখি দোকানের তালা কাটা, দোকানের ক্যাশে রক্ষিত প্রায় ১৫হাজার নগদ টাকা এবং বেশকিছু সিগারেট(যার আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকা) নিয়ে যায় চোরেরা।
মোটর পার্টস ব্যবসায়ী বাবুল সরকার জানান, ঠিক একই কায়দায় কাটা হয়েছে তাঁর দোকানের তালাও, নিয়ে গেছে নগদ ৭ হাজার টাকাসহ কিছু মুল্যবান সামগ্রী।
গত ১৬জুন(শুক্রবার) দিনগত রাতে একই কায়দায চুরি হয়েছে থানার অদুরে কলেজ রোডের দুটি দোকান, এর একটি হচ্ছে আইটি জোন নামের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, অন্যটি আনিশা জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকান।
গত ৩১মে(মঙ্গলবার) দিনগত রাতে থানার উত্তর গেইটের মাত্র ৫০গজ দুরে চুরি হয়েছে দুটি দোকান, এর একটি হচ্ছে নুরে মদিনা নামের বিকাশ এজেন্ট ও কম্পিউটারের দোকান, অন্যটি সদর দলিল লেখক আবুল কালামের অফিস।
থানা ভবনের অতি নিকটে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটছে সদরের ব্যবসায়ীদের, তাঁরা বলেন দিনদিন চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ ভাবে চলতে থাকলে সদর এলাকায় ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। দোকান বন্ধ করে রাতে ঘরে যাই কিন্তু চুরির ভয়ে মন পড়ে থাকে দোকানে।
থানার অদুরে সৃষ্ট এসব চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, গত শুক্রবার রাতে কলেজ রোডের দুটি প্রতিষ্টানে চুরির খবর পেয়েছি, বাকি দোকান গুলোতে চুরির ঘটনা সম্পর্কে আমরা শুনিনি। আর চুরির বিষয়ে এ পর্যন্ত থানায়ও কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
Discussion about this post