সাইফুল ইসলাম – সাভার প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে পল্লী বিদ্যুৎতের যোগসাজশে ২৬বছর ধরে কুশুরা ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম এলাকায় সেচ প্রকল্প (ডিপ-টিউবয়েল)থেকে পানি নিয়ে মাছের ঘের করে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।এমন ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের পাড়াগ্রার এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,পাড়াগ্রাম এলাকায় গত ৩১বছর আগে মৎস্য প্রকল্প নামে গ্রাম উন্নয়নের জন্য একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন এলাকাবাসি। সেই থেকে চলে আসছে মৎস প্রকল্প। আর এই মৎস্য প্রকল্প পরিচালনা করার জন্য গ্রামের লোকজন দিয়ে তৈরি হয় কমিটি। সেই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে মৎস প্রকল্প পরিচালনা করেন। তারা পল্লী বিদ্যুৎতের লোকজনের সাথে যোগসাজশে প্রায় ২৬ বছর ধরে অবৈধ ভাবে সেচ প্রকল্প(ডিব-টিউবয়েল) থেকে পানি নিয়ে মাছের ঘের করে। এতে দেখা গেছে প্রতি বছর প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এখানে বলা হয়েছে কৃষি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎতের(৪টাকা ইউনিট) বিল কম। আর শিল্প মিটারের( ১৬টাকা ইউনিট) বিদ্যুৎতের বিল বেশি হওয়ায় সেই কারণে মাছের ঘের পরিচালনা কমিটি শিল্প মিটার না নিয়ে সেচ প্রকল্প (ডিপ-টিউবয়েল যাহার মিটার নং ১৩৬০)থেকে পানি নিয়ে মাছের ঘের করেন। পল্লী বিদ্যুৎতের নিয়ম অনুযায়ী সেচ প্রকল্প থেকে মাছের ঘেরে পানি দেওয়া যাবে না। সেখানে গত ২৬ বছর ধরে তারা বিদ্যুৎতের বিল ফাঁকি দিয়ে মাছের ঘেরে পানি সরবরাহ করছে। এতে সরকার প্রায় ১কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য প্রকল্প কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমাদের মাছের ঘেরে পানি শুকিয়ে গেলে তখন ডিপ-টিঁউবয়েল থেকে পানি নিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই বিষয়ে আমাদের কোন অনুমতি নেই। আমরা বিদ্যুৎতের বিল যা আসে তা আমরা পরিশোধ করে দেয়। এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আমাদের কোন কিছু বলে নাই।
এই বিষয়ে কুশুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডি,জি,এম মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, সেচ প্রকল্প থেকে মাছের ঘেরে পানি দেওয়া যাবে না। তবে আমি এই বিষয়টি জেনেছি ঐ সেচ প্রকল্পের ফাইলে দেখা যায় ২০০৯সালে সেচ প্রকল্প বিদ্যুৎতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলাকার লোকজন বলছে ২৬বছর ধরে সেচ প্রকল্প থেকে পানি নিয়ে মাছের ঘেরে ব্যাবহার করছে। যেহেতু কৃষি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎতের বিল কম। তবে কৃষি সেচ প্রকল্প থেকে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আমি সেখানে লোক পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ঘটনা সত্য হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অবৈধভাবে সেচ পাম দিয়ে মাছ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ফ্রেন্ডশিপ মৎস্ খামার প্রকল্পের সদস্য সচিব আব্দুল রহিম সহ আরও অনেকে।
Discussion about this post