আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
স্বজনদের দাবি পরিকিয়ার জেরে নির্যাতন করে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
আনোয়ারায় মোছাঃ কলি আকতার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব ডুমুরিয়া
এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একবছর আগে পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের আবুল কালামের মেয়ে মোছাঃ কলির বিয়ে হয় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের সৈয়দ কুচাইয়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে। কলির সাথে বিয়ে হলেও দীর্ঘ ধরে খালাত ভাইয়ের বৌয়ের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল আক্তারুজ্জামানের । গত বুধবার রাতে আক্তারুজ্জামান প্রচুর মারধর করে কলিকে।সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কলির লাশ দেখতে পান। পরে লাশ নিচে নামিয়ে খাটের উপর রেখে দেন।
কলির মা রোজী আক্তার সহ পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, কলিকে মেরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। লাশের মুখে ,পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত এর চিহৃ আছে বলে জানান তিনি।
স্বামীর পরকিয়া প্রেমের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মোঃ আক্তারুজ্জামান আত্মগোপনে রয়েছেন।
নিহতের চাচা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ভাবীর সাথে পরকীয়া ছিল নিহতের স্বামীর। এর প্রতিবাদ করলে প্রায়সময় মারধর করত স্বামী। আমার ভাতিজীকে ভাবী আর দেবর মিলে হত্যা করেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সকালে পুলিশ গিয়ে লাশ নিচে নামিয়ে আনে। লাশের সুরতহাল শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post