বিশেষ প্রতিনিধি
নোবেল পিস প্রাইজ কমিটিতে প্রাথমিক বাছাই এ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের নাম প্রস্তাব
বাংলাদেশের মানবাধিকার নেতা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ত্রাতা হাইকোর্টের জৈষ্ঠ্য আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের নাম ২০২২ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। নোবেল পিস প্রাইজ কমিটিতে প্রাথমিক বাছাইএর জন্য তাহার নাম গৃহীত হয়েছে।দেশের স্বনামধন্য এ মানবাধিকার নেতার নাম প্রস্তাব করেছেন নিউইয়র্কের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার। তিনি নোবেল পিস কমিটির একজন মনোনয়নকারী বা নমিনেটর।ড. দস্তিদার জানান, তিনি মনোনয়নপত্রের সংক্ষিপ্ত ডিসকোর্সে তাহার সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের মূল আদর্শের জন্য লড়াই করছেন। এই মূল আদর্শ হলো একটি সেক্যুলার এবং সর্বধর্মের প্রতি সহনশীল রাষ্ট্র গঠন। উনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষার জন্য নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করছেন। সর্বোপরি তাদের মূল এজেন্ডা হিউম্যান রাইটস্ প্রতিষ্ঠা।ড. দস্তিদার জানান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম প্রস্তাব করার পরপরই নোবেল পিস কমিটি জানায়, উক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিপুল সংখ্যক নাম প্রস্তাবাকারে পাঠানো হয়। কিন্তু সব নাম গৃহীত হয় না। এইসব গৃহীত নাম থেকে লং লিস্ট শর্ট লিস্ট শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।উল্লেখ্য, ড. সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার পঞ্চাশ বছরেরও বেশি আগে বরিশাল থেকে আমেরিকায় আসেন। এলাবামার এএন্ডএম ইউনিভার্সিটি, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা ছাড়াও দীর্ঘদিন নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির ওল্ড ওয়েস্টবারি কলেজে পড়িয়ে সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন।এছাড়াও তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশীপে কাজাখস্তান, আয়ারল্যান্ড, ইন্ডিয়ায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. দস্তিদার আমেরিকায় থেকেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ রক্ষাসহ মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে চলেছেন।তিনি বলেন, মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের রক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের যে বিশাল ভূমিকা তা আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সে কারণেই তাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এবং সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
Discussion about this post