ঢাকার ধামরাই পৌরসভার তালতলা কমিশনার মোর আব্দুর রাজ্জাকের নিজ বাড়ী ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী শামীমা আক্তার রিয়ার বাল্য বিয়ে পন্ড করেছেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।
পরে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেয়ের বাবা আব্দুর রাজ্জাককে ৫০ হাজার এবং বর মোঃ সাজ্জাদুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে মেয়ের বাবাকে নির্দেশনা দেওযা হয ১৮ বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার প্রতিক্রতি দেন।
আজ শুক্রবার(৪ মার্চ) বেলা ৩ টার সময় ধামরাই পৌরসভার তালতলা কমিশনার মোর আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ীতে বাল্য বিবাহ পন্ড করা হয়।
শামীমা আক্তার রিয়া(১৪) ধামরাই হার্ডিজ্ঞ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯মশ্রেণীর ছাত্রী। সে ধামরাই পৌরসভার তালতলা কমিশনার মোরের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।বরের বাড়ী টাঙ্গাইলে জেলার নাগরপুর থানার দুনিগ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
এই বিষয়ে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোন বাল্য বিবাহ হবে না। গতকাল জানতে পারি আমার ওয়ার্ডে একটি বাল্য হবে। সাথে সাথে সহকারী কমিশনার(ভুমি) মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি এসে বিয়ে দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট এর কথা না মেনে পুনরায় আজ শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর পর ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি এসে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেয়।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, বাল্য বিবাহ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি। বাল্য বিবাহ বিরোধ আইন ২০১৭ সালের (৫)ধারা মোতাবেক মেয়ের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরকে ১০ হাজার জরিমানা করা হয়। সেই সাথে মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে না দেওয়ার প্রতিক্রতি নেওয়া হয়। তিনি আর বলেন বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সকলে সচেতন হবে।
Discussion about this post