ঢাকার ধামরাইয়ে সিআইপি(কমার্শিয়াল ইমপর্টেন্ট পার্সন) ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে পুলিশ। সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নেয়ার ১৯মিনিটের মাথায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসী হামলা থেকে বাড়ীটি রক্ষা পায়।
পুলিশের এ দ্রুত উপস্থিতির ভুঁয়শী প্রশংসা করেছেন ওই সিআইপি ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃধবার দিনগত মধ্যরাতে(রাত আড়াইটার)
দিকে উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের ডালিপাড়া এলাকাস্থ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান ও সিআইপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আল জামান আমানের বাড়ীতে।
ঢাকা জেলা পৃলিশ সুপার মোঃ মারুফ সরদার এবং ডিবি,পিবিআই ও র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন ও সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
সিআইপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আল জামান (আমান) বলেন,আমার বাবা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। আমাদের বাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থায়ী ক্যাম্প ছিল। আমার মা আমেনা জামানও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে থাকতে হয়। দেশে অবস্থানকালে বেশীরভাগ সময়ই আমি বাড়ীতে থাকি। বুধবার দিনগত রাতে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকাতে আটকা পড়ায় আমি বাড়ীতে আসতে পারিনি। নইলে আমার বাড়ীতে আসার কথা ছিল। একথা এলাকার সবারই জানা। বাড়ীতে কাজের লোকজন,কানাডা প্রবাসী আমার বোন নাজমুন্নাহার ও আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বাড়ীতে ছিলেন। কম্পিউটারে কাজ করার সময় রাত আড়াইটার দিকে আমার বোন সিসি টিভেতে দেখতে পায় একদল দূর্বৃত্ত বাউন্ডারি ওয়ালের কাটাতারের বেড়া কাটছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে অবহিত করা হলে আমি ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আতিকুর রহমান
আতিককে জানাই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমার বাড়ীতে পুলিশ পাঠান। মাত্র ১৯মিনিটে আমার বাড়ীতে পুলিশ পৌঁছে রেকর্ড সৃষ্টি করে। এতে আমার বাড়ী সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা পাই।
পুলিশ,ডিবি,র্যাব ও পিবিআই সদস্যরা বৃহস্পতিবার দিনভর ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ মালেক ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে
জরুরী ভিত্তিতে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতাতের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ সরদার বলেন,খবর পেয়েই ধামরাই থানা পুলিশ মাত্র ১৯মিনিটের ব্যবধানে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এজন্য ধামরাই থানা পুলিশকে অভিনন্দন। নিশ্চয় তারা প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। তাদের দ্রুতগতির সার্ভিসের কারণে আজ বড়ধরণের অঘটন থেকে রক্ষা হয়েছে।
এমন পুলিশের প্রশংসা না করে পারছিনা। পুলিশ,র্যাব, ও পিবিআই একযোগে কাজ করছে। খুব অল্প সময়ের মধেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Discussion about this post