সকাল সকাল বাড়ির পাশে সিংহরা রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে শামিল হয়েছিলেন ভোট আনন্দে। কিন্তু সেখানেই ইটের আঘাত ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হল ওমকারকে। ওমকারের মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে আনোয়ারা উপজেলার সিংহরা গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। সবার প্রিয় বন্ধুবৎসল মানুষটিকে কেউ পিটিয়ে মারতে পারে তা যেন কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না। ওমকারের বউ এবং ২ বছরের ছেলে বাড়িতে ছিলনা,তারা ছিল বাপের বাড়িতে। অবসরপ্রাপ্ত কাস্টস কর্মকর্তা নেপাল দত্তের ছেলে ওমকার বাড়ির কাছে একটি ফার্মেসি দোকান পরিচালনা করতেন। রাত-বিরেতে ওষুধের জন্য এলাকার মানুষের ভরসার আশ্রয়স্থল ছিলেন তিনি।
গতকাল দুপুরে ওমকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। আত্নীয় স্বজন, প্রতিবেশী সবার চোখে পানি। বাবা-মা দুইজনই কয়েক দিন আগে বৈরাগে মেয়ে বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছেলের মৃত্যু সংবাদে সেখান থেকে চলে যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যেখানে পড়েছিল ওমকারের নিথর দেহ।
ওমকার দত্তের কাকীমা মিতা দত্ত বলেন, রাতে ওমকার বাড়িতেই ছিল। তার মা-বাবা বোনের শ্বশুরবাড়ি ও বউ-ছেলে গিয়েছে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে। এই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ধনঞ্জয় বিশ্বাস ভোলা একই এলাকার ছেলে ও সমবয়সী। তারপক্ষে কাজ করতে তাই সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে চলে যায় সে। মেম্বার প্রার্থী ধনঞ্জয় বিশ্বাস ভোলা অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী রঘুনাথ সকারের সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিলেও মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রঘুনাথ সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থীরা একজোট হয়ে তাকে ফাঁসানোর জন্য এসব ষড়যন্ত্র করছেন। আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম শিকদার বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post