১০ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ,এইচ আর সি বি এম ও হিউম্যান রাইটইস্ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,হিউম্যান রাইটইস্ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল হক,বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সহ-সভাপতি টিকে পান্ডে,মিলন শর্মা,এড. জগদীশ সরকার,আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.,বাসুদেব গুহ, সুমন কুমার রায়,দপ্তর সম্পাদক গোপাল মন্ডল,যুগ্ম-সম্পাদক শ্যামল ব্যানার্জী,সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল ঘোষ,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ রায়,রাজীব দাস,প্রচার সম্পাদক রঞ্জন মন্ডল,সহ-প্রচার সম্পাদক গৌতম মন্ডল,সদস্য মোঃ শানিনুর রহমানহিউম্যান রাইটইস্ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যকালে সংগঠনের সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, “প্রতিটি স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সব অধিকার পাওয়ার যোগ্য। এটি তাদের বসবাসের স্থান, বর্ণ, গোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক উৎপত্তি, লিঙ্গ, যৌন পরিচিতি, রাজনৈতিক অথবা অন্য মতামত, প্রতিবন্ধিতা বা উপার্জন অথবা অন্য যেকোনো অবস্থান নির্বিশেষে প্রযোজ্য।” কিন্তু সে অধিকার থেকে বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিত হয় মানুষ। আমাদের দেশে সম্প্রতি পূজামন্ডপে হামলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতন ঘটে গেছে তা বন্ধে সরকারকে আরো সচেষ্ট হতে হবে। যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের যা যা করার দরকার তা তা করতে হবে। সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই সরকার তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে এটাই চায় বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সচেতন নাগরিকরা।
উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বলেন, জাতিসংঘের এবারের মানবাধিকার দিবসের“প্রতিপাদ্য বিষয়
বৈষম্য ঘোচাও,সাম্য বাড়াও ও মানবাধিকার সুরক্ষা দাও”
সারা বিশ্বে সত্যিকারের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সেখানেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগ্রগন্য ভূমিকা রাখতে হবে, তাই বংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও সমমনা সংগঠনগুলো বিশ্বাস করে, সহায়ক পরিবেশ ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানবাধিকারের কর্মকান্ড সঠিক দক্ষতা আরো বৃদ্ধি হলে সমাজ পরিবর্তনের দূত হিসেবে অনেকেই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। জন্মগতভাবে সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদা অধিকারী।
বর্তমান বিশ্বে Human Rights শব্দটি বহুল আলোচিত ও বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। মানবাধিকারের বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ ও অলঙ্ঘনীয় হলেও সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই এ নিয়ে চলছে বাক-বিতণ্ডা ও দ্বন্দ-সঙ্ঘাত। একদিকে মানবাধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলা হচ্ছে, অন্যদিকে শাসকরা দেশে দেশে জনগণের স্বীকৃত অধিকারগুলো পর্যন্ত অবলীলায় হরণ ও দমন করে চলছে। আর দুর্বল জাতিগুলোর সাথে সবল জাতিগুলোর আচরণ আজকাল মানবাধিকারকে একটি উপহাসের বস্তুতে পরিণত করেছে।তাই মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানবাধিকার রক্ষা কল্পে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। মানববন্ধনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের পক্ষে কয়েকটি দাবি জানায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দাবীগুলো হলো…১. সংখ্যালুঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংসদে ৫০ টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যাবস্থা করা।২.সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন করা ।৩.সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ।৪.সংখ্যালঘু সুরক্ষা
Discussion about this post